Hot!

Other News

More news for your entertainment

মসলাজাতীয় খাবারটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম

আদা

আদার হাজারো গুণ

আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মশলা  জাতিয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগণ্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ ঔষধ। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়।  অন্যান্য অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।

 

মাটির নিচে জন্ম নেওয়া এই মসলাজাতীয় খাবারটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে হলেও আছে সোডিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ।


গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যেকোনো ধরনের ঠান্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই ও হাঁপানির আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর অনেক সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে আদা সেবনে। এ ছাড়া সকালে উঠলে অনেকেরই শরীর ম্যাজম্যাজ করে, কিংবা দুর্বল বোধ করেন। এ ক্ষেত্রেও আদা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এ ছাড়া চুল পড়া রোধেও তা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন ’, ‘’, ‘বি৬এবং সির পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে। এ ছাড়া রক্তের প্লাটিলেট ও কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রম ঠিক রাখতেও তা দারুণ কার্যকর।



আদার রস খেলে আহারে রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে। আদা পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বাড়ায়।

আদা মল পরিষ্কার করে। আদার রসে পেটব্যথা কমে।
হৃদরোগ ও শরীরের ভেতরে বায়ু ও আমাশা সারিয়ে তোলে।

আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি সারে।


আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
শীতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা । নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
শীতজনিত শ্বাসকষ্টের দূর করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও এই চা বেশ কর্যকর।

আদা হজমেও সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে।
মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা চা । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা।
আদা কুচি করে চিবিয়ে অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলে বমির ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

কিভাবে আদা খাবেন
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।
২. আদা ছিলে , সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।
৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আধা  চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।
৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠাণ্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাট খেতে পারেন।
৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।



বহুগুণী সরিষা বাজারে দামী লোশন ও ক্রিমের ভিড়ে যেন হারিয়ে গেছে

বহুগুণী সরিষা


সরিষা ক্ষেত
বাজারে্র দামী লোশন ও ক্রিমের ভিড়ে সরিষার তেল যেন হারিয়ে গেছে। ছোটবেলায় এই তেল মেখে উঠানে রোদ পোহানোর কথা কি ভুলে গেছেন সবাই? এখন সেই ছেলেবেলা নেই; নেই সেই মিষ্টি রোদ। কিন্তু সরিষার তেলের উপকারিতা অস্বীকার করার ক্ষমতা আমাদের কারো নেই । নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে আপনার শরীর থাকে সুস্থ, সজীব ও ঝরঝরে।


খাবারে সুস্বাদ্য আনতে বিশেষত ভর্তা, ভাজি, ইত্যাদি অথবা বিশেষ কোন খাবার রান্না করতে সরিষা তেলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং রান্না করা ছাড়াও রূপচর্চা পথ্য হিসেবে রয়েছে সরিষার তেলের বিশাল ভূমিকা।

উপকারিতা

সরিষা

সরিষা দানায় রয়েছে সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম যা হাঁপানী, ঠাণ্ডা জ্বর, সর্দি, কফ, কাশি ইত্যাদি দূর করে

এছাড়া সরিষার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক এসিড, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন ও সালিভা এসিড শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে ওজন কমে।

এটি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
সরিষার ক্যারোটিন, ফ্লেভোনয়েড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, সি ও কে বয়স্কের ছাপ দূর করে এবং অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

বাতরোগ এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে আক্রান্ত স্থানে সরিষা বাটা বা তেল মালিশ করতে হবে অথবা সরিষার দানা ডোবানো গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
সপ্তাহে একদিন চুলে উষ্ণ সরিষার তেল মালিশ করলে মস্তিষ্ক শিথিল হয়, খুশকি দূর হয় এবং চুল দ্রুত বাড়ে।

এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অর্শ্বরোগ থেকে মুক্তি পেতে দিনে তিনবার এক চা চামচ সরিষার দানা খেতে হবে।
সরিষা দানায় রয়েছে সালফার, ফাইবার এবং বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ও জীবানুনাশক উপাদান যা চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।

এছাড়া সরিষায় বিদ্যমান মিনারেল যেমন, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফ্যাটি এসিড এবং ক্যালশিয়াম যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সরিষার তৈল 
কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে। সরিষার তেল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্রদাহবিরোধী হিসাবে কাজ করে।

ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে।
চুল পড়া প্রতিরোধ করে, খুসকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে।

সরিষা তেল ঠান্ডা এবং কাশি উপশমে সহায়ক, যখন  বুকের সম্মুখে প্রয়োগ বা নিঃশ্বাসের মাধমে নেয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালী থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে।

এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি উদ্দীপক। এরা রক্ত সঞ্চালন, হজম প্রক্রিয়া এবং হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই তেল খাওয়া বা মাসাজ উভয় প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যায়।

পোকামাকড় সরিষার তেল সহ্য করতে পারে না। এই তেল ব্যবহার করে পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

অপকারিতা

প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
 হৃদ্স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
দীর্ঘদিন ধরে ত্বকে ব্যবহার করলে চামড়ার ক্ষতি করতে পারে।
অন্তঃস্বত্তা নারীদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

তিশি কিছুটা অপরিচিত কিন্ত পুষ্টিগুণে কতটা সমৃদ্ধ

তিশি কিছুটা অপরিচিত কিন্ত পুষ্টিগুণে কতটা সমৃদ্ধ
তিশি


তিসি তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী গুল্ম। মিশরে লিনেন জাতীয় বস্ত্র তৈরীতে এর ব্যবহার শুরু হয়। তবে বর্তমানে তেলের জন্য বীজ এবং আঁশের জন্য এ উদ্ভিদকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। এটি ৩০ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ উঁচু হয়। ফুল নীল, সাদা বা হালকা গোলাপী হয়। প্রতিটা ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে। ভোর বেলা ফুল ফোটে এবং বিকালে ঝড়ে যায়। যায়। কান্ডের বাকল বা ছাল থেকে আঁশ তৈরি হয়। আশ সংগ্রহের জন্য উদ্ভিদের কান্ড পানির নিচে ৭-২১ দিন রেখে আঁশ সংগ্রহ করা হয়। জাগ দেওয়া ও আঁশ সংগ্রহ, পাট হতে আঁশ সংগ্রহের মতো।
  
তিসি বীজ। যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্স সিড। আমরা যাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি। তিসি বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। তিসি বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের প্রধান উৎস। আমাদের দেশে বাদামি ও হলুদ রঙের তিসি বীজ বেশি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম বীজে আছে- ৫৩৪ কিলোক্যালরি, ১৮.২৯ গ্রাম আমিষ, ২৭.৩ গ্রাম স্নেহ, ২৮.৮৮ গ্রাম শর্করা, ১.৬৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.১৬১ মিলিগ্রাম রাইবোফ্লাভিন, ৩৯২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৬৪২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৮১৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৪.৩৪ মিলিগ্রাম জিঙ্ক, ০.১৭৪ মিলিগ্রাম ম্যাংগানিজ, ৮গ্রাম খাদ্য আঁশ ও ৬ মাইক্রোগ্রাম ফলেট। এতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খুব কমই রয়েছে। অনেকেই তিসি খেয়ে থাকেন নানা ভাবে। আবার অনেকের তেমন পছন্দ নয়। কিন্তু এর পুষ্টিগুণের তালিকা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী।
তিশি


   চলুন তবে দেখে নেয়া যাক তিসি বীজের কিছু স্বাস্থ্যকথা।


তিসি বীজ উচ্চমাত্রার আঁশ এবং কম শর্করাযুক্ত: তিসিবীজে একধরনের জেলির মত খাদ্য আঁশ থাকে, যা পানিতে দ্রবণীয় তাই এটি শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের উপকারী। যা পাকস্থলীকে দ্রুত খালি করতে সাহায্য করে যার ফলে পুষ্টি উপাদান দেহে ভালো ভাবে শোষিত হতে পারে। তিসিবীজে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকায় তা কোলনের বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে এবং চিনি খাওয়ার ইচ্ছাকে কমাতে সাহায্য করে।

সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য:  তিসি আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শস্য। স্বাস্থ্যবান ত্বক, চুল ও নখ পেতে প্রতিদিনের পানীয়তে ২ টেবিল চামচ তিসিবীজ রাখুন বা ১ টেবিল চামচ তিসির তেল রাখুন প্রতিদিনের খাওয়াতে।তিসিবীজে থাকা আলফা লিনোলেইক এসিড ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট সরবরাহ করে যা ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের অ্যাকজিমা, ব্রনের সমস্যা দূর করে এটি। নিয়মিত এটি খেলে ত্বক এবং চুল আভ্যন্তরীণ ভাবে স্বাস্থ্যবান হয়। এটি ব্রণ ও যেকোন চামড়া জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। এটি মাথায় খুশকি হতে দেয় না এবং মাথার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ঠিক রাখে।

ওজন কমাতে: তিসিবীজে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আঁশ আপনাকে অনেক্ষন পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় যার ফলে কম ক্যালরি গ্রহণ করা হয় এবং ওজন কমে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের ALA অর্থাৎ আলফা লিনোলেইক এসিড শরীরের উদ্দীপ্ততা কমাতে সাহায্য করে। উদ্দীপ্ত শরীরের সব সময় প্রবণতা থাকে অতিরিক্ত ওজন ধরে রাখার। তাই ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় স্যুপ, সালাদ ও যেকোনো পানীয়ের সাথে কয়েক চা চামচ তিসিবীজ রাখুন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে: :  তিসিবীজের দ্রবণীয় আঁশ চর্বি ও কোলেস্টেরলকে হজমতন্ত্রের মাঝে এমন ভাবে আঁটকে ফেলে যে আর দেহে শোষিত হতে পারে না। গবেষণা থেকে জানা গেছে, তিসিবীজ প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীরের HDL গুড কোলেস্টোরাল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টোরালকে কমায়।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তিসি রাখুন। এতে করে রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রা কমে যাবে।

গ্লুটেন ফ্রি: : তিসিবীজ গ্লুটেন বা আঠালো সমৃদ্ধ খাবার গুলোর চমৎকার বিকল্প হতে পারে। কারন গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার গুলো প্রদাহী অপরদিকে তিসি হচ্ছে প্রদাহবিরোধী। তাই যাদের সিলিয়াক ডিজিজ বা বা গ্লুটেন অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য তিসিবীজ হতে পারে চমৎকার একটি খাবার। আবার যাদের সামুদ্রিক মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য ও চমৎকার বিকল্প হতে পারে।

তিসিবীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: তিসিবীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। যা অ্যান্টিঅ্যাজিং, হরমোনের ভারসাম্যতা এবং কোষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খুবই উপকারী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: তিসিবীজ রক্তে চিনির মাত্রা কমায় যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে। যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন নেই যদি এই তিসি সেবন করে থাকেন দৈনিক অন্তত ১৫-২০গ্রাম তিসি। আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা যদি এটি গ্রহণ করে তবে তাদের ডায়াবেটিস হয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

হজমক্রিয়াকে উন্নত করে: শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মেদ কমায়। তিসিবীজে থাকে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ যা হজম ক্রিয়াকে উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তি পেতে ১-৩ টেবিল চামচ তিসির তেল ২৫০ মিলি বা ১ কাপ গাজরের জুসের সাথে নিয়মিত গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি সর্বোচ্চ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধও খাবার।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে: তিসিবীজ স্তন, প্রোস্টেট, ওভারিয়ান এবং কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। তিসিবীজে থাকা ৩ ধরনের লিগ্নান্স, দেহে থাকা হরমোনের প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা বজায় রাখে যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

উচ্চ মাত্রার ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ আমরা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উপকারিতার কথা কম বেশি সবাই জানি। তিসিবীজের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে থাকে আলফা লিনোলেইক এসিড(ALA) যা আমাদের দেহে সহজে কাজ করতে পারে। এই আলফা লিনোলেইক এসিড (ALA) হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট তিসিতে রয়েছে উপকারী ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড এমাইনো এসিড যা দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিপি কমাতে সহায়তা করে। যারা হাই ব্লাডপ্রেসারের রোগী তারা তাদের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। প্রতিদিন ২চামচ তিসির পাউডার এর জন্য যথেষ্ট।
যারা তামাক বা অন্য নেশায় আক্রান্ত থাকে তাদের জন্য তিসি খুবই উপকারী।এটি নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে মুক্তি দিতে হবে। প্রতিদিন খাওয়ার পর অল্প পরিমাণ তিসি চাবালে দ্রুত নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন একজন রোগী।

তিসি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সবল রাখতে কাজ করে। তিসি বীজে রয়েছে আলফা লিনোলিক এসিড যা হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।

 ● তিসি আমাদের হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। মেজাজ ফুরফুরে রাখে।

এটি আমাদের শরীরের ক্যলসিয়াম লেভেল বাড়ায়। ফলে হাড় ও শরীরের জয়েন্টগুলো সুস্থ থাকে। ফলে বৃদ্ধ বয়সে হাড্ডিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূর করে এবং অ্যাজমা থেকে রক্ষা করে।
তিশি গাছ


তিসি বীজ মেয়ে এবং ছেলেদের fertility বাড়ায়। এমন কি মেনোপোজের সময় ব্যথা দূর করতেও তিসি অনেক উপকারী।
  • - তিসির ফ্যাটি এসিড ক্যারোটিন হতে দেহে ভিটামিন '' তৈরিতে সাহায্য করে। এতে করে দেহের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয়। শিশুদের ছোটবেলা হতে তিসি খাওয়ার অভ্যাস করলে ভিটামিন এ ঘাটতি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে।
তিসি হচ্ছে আঁশসমৃদ্ধ, প্রোটিন, ক্যলসিয়াম,এন্টি অক্সিডেন্টস, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং মিনারেলের একটি অসাধারণ সমন্বয়। এতে ভিটামিন বি কপ্লেক্স, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তিসি আমাদের শরীরে এন্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে দেহকে শক্তিশালী রাখে এবং সহজে ক্লান্ত হতে দেয় না
কোথায় পাওয়া যায়:

 তিসিবীজ আমাদের দেশেও চাষ হয় কিন্তু অন্যান্য শস্যের মত এতো পরিচিত নয়। তিসি সাধারণত অর্গানিক খাবার যেসব দোকানে পাওয়া যায় সেখানে পাবেন। এছাড়া মশলার দোকানে বা বীজ যেসব দোকানে বিক্রি করে সেখানেও পেতে পারেন

কাঁচা কিংবা গুড়ো সব হলুদেই আছে ঔষধি গুণ

কাঁচা কিংবা গুড়ো সব হলুদেই আছে ঔষধি গুণ

গুড়া হলুদ

কাঁচা হলুদ
হলুদ, আমাদের প্রত্যেকের রান্নাঘরে ভীষণ সহজলভ্য একটি উপাদান। হলুদ ব্যতীত বাঙালিদের রান্না যেন কল্পনাই করা যায়না। রান্নায় হলুদ মেশালে স্বাদ বাড়ে। ত্বকে ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। বলছি হলুদের কথা। কাঁচা হলুদই হোক আর গুঁড়া হলুদদুটোরই আছে গুণ।



হলুদ কি
হলুদ হচ্ছে আদা গোত্রীয় এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড় বা মূল।
কাচা হলুদকে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করা হয়, তার পর গরম চুলায় শুকানো হয়। শুকনো হলুদকে চূর্ণ করলে গাঢ় হলুদ বর্ণের গুঁড়া পাওয়া যায়, যা আমরা ব্যবহার করে থাকি। আবার শুকনো হলুদ ছিলে নিয়ে পানিতে ভিজিয়েও ব্যবহার করা হয়।

সাম্প্রতিক গবেষেনায় দেখা গেছে হলুদে কারকিউমিননামক একটি বায়ো-এক্টিভ যৌগ আছে, কারকিউমিনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক। যা অগ্নাশয়ের(পেনক্রিয়েটিক) ক্যান্সার, আলজাইমার রোগ, কলোরেক্টাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকমিয়া প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। হলুদ এমন একটি ঔষধী মশলা যা লিভারের বিষক্রিয়া প্রতিহত করায় সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হলুদের সঙ্গে ত্বক ফর্সা হওয়ার একটি বিষয় রয়েছে। কারকিউমিন কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটিকে জাদুকরি উপাদান বলা হয়। এটি ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে।
এটি রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, ব্রণ প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; হোয়াইট হেড, ব্ল্যাক হেড দূর করে। ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
হলুদ ত্বকের বাইরে থেকে মাখলে যে উপকার পাওয়া যায়, খেলেও প্রায় একই রকম উপকার পাওয়া যায় । হলুদ খেলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। ত্বকের জন্যও এটি খুব ভালো। হলুদ খেলে ত্বককে ফর্সা ,সুন্দর ও কোমল করে। ত্বকে নিয়মিত হলুদের ব্যবহার চেহারায় দ্যুতি আনে।




কীভাবে খাবেন
·          এক ইঞ্চি সমান কাঁচা হলুদ দুধের মধ্যে নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে। এর পর হলুদটি তুলে ফেলে কেবল দুধ পান করতে হবে। ননিহীন দুধ হলে ভালো হয়।
·       দুই কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মেশান। এর পর গরম করুন। ঠান্ডা হওয়ার পর পানকরুন।
·           দুধ ঠান্ডা হওয়ার পরই পান করবেন। নয়তো হজমে সমস্যা হতে পারে।
·              আর যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের খাওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
·               যদি কোনো সমস্যা না হয়, সব সময় খেতে পারেন।
উপকারিতা-
১। সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে বা পুড়ে গেলে কাঁচা হলুদ  বাটার মধ্য  দই মিশিয়ে লাগান পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।
২। হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩।কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে।হলুদের তৈরি দুধ খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৪। সর্দি-কাশি হলে হলুদ খেতে পারেন। কাশি কমাতে হলে হলুদের টুকরা মুখে রেখে চুষুন। এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
৫। বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।
৬। হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়। হলুদে কারকিউমিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।
৭।  যাদের প্রচুর ব্রণ ওঠে তাদের জন্য কাঁচা হলুদ জাদুর মতো কাজ দেয়। ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রনের উপরে লাগান। কিছু সময় পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে ও ইনফেকশন হবে না।
৮। রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
৯। আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ রক্ত শুদ্ধ করে। তাই হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়।
১০। গা ব্যথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টের ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিতে পারেন।
১১। পেটের নানা রকম পীড়ায় যাঁরা ভুগছেন, (যেমন: গ্যাস্ট্রিক, অজীর্ণতা ইত্যাদি) তাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে অল্প একটু কাঁচা হলুদের রস কিংবা পাতলা করে কাটা হলুদের ছোট টুকরা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১২। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকরভাবে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে হলুদ ঔষধের মত কাজ করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতা কমাতে সাহায্য করে।

১৩ । হলুদে দুধ যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে ঠিক তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই ক্ষেত্রেও লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন।
১৪ । গোসলের যাওয়ার আগে কাঁচা হলুদের সাথেনারিকেল তেল অথবা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে পায়ের ফাটা দাগ কমবেপায়ের ত্বক সুন্দর এবং নরম থাকবে।
১৫। সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।
১৬। কৃমি সমস্যায় ভুগছেন, প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদের রস ২০ ফোঁটা নিয়ে তার মধ্যে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে সেবন করুন। চাইলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত সেবনে অচিরেই পরিত্রাণ মিলবে।





হলুদ হজমের জন্য খুব উপকারী। খাদ্য হজম হতে যেসব পরিপোষক দরকার, সেগুলো হলুদে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান।
খাদ্যে পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেও সহায়ক। তবে অতিরিক্ত হলুদ খাবারে তেতো স্বাদ আনে।
কুসংস্কার প্রচলিত আছে, ‘জন্ডিস রোগে হলুদ একেবারে নিষিদ্ধ’—এই ধারণা ঠিক নয়; বরং জন্ডিসের রোগীর খাবারেও সামান্য পরিমাণ হলেও ব্যবহার করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
* লিভারে যাঁদের সমস্যা আছে বা লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হলুদ খাবেন। বেশি হলুদ খাওয়া তাঁদের জন্য ক্ষতিকর।
* খাবারে কার কতটুকু হলুদ গ্রহণ করা উচিত, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
* ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্ট হলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে দুধ বাদ দিয়ে মধু বা শুধু হলুদ অল্প পরিমাণে খেতে হবে। অথবা সয়া দুধও নেওয়া যেতে পারে।
* দুরারোগ্য কোনো লিভারের অসুখ হলে হলুদ যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে। কী পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের কাছ থেকে।
* ত্বকে সহ্য না হলে হলুদের ব্যবহার বাদ দিন।
* দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা হলুদ না খেয়ে মাঝেমধ্যে বিরতি দিতে হবে।
* অতিরিক্ত হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খেতে হবে
পরিমাণ মতো।