Hot!

বহুগুণী সরিষা বাজারে দামী লোশন ও ক্রিমের ভিড়ে যেন হারিয়ে গেছে

বহুগুণী সরিষা


সরিষা ক্ষেত
বাজারে্র দামী লোশন ও ক্রিমের ভিড়ে সরিষার তেল যেন হারিয়ে গেছে। ছোটবেলায় এই তেল মেখে উঠানে রোদ পোহানোর কথা কি ভুলে গেছেন সবাই? এখন সেই ছেলেবেলা নেই; নেই সেই মিষ্টি রোদ। কিন্তু সরিষার তেলের উপকারিতা অস্বীকার করার ক্ষমতা আমাদের কারো নেই । নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে আপনার শরীর থাকে সুস্থ, সজীব ও ঝরঝরে।


খাবারে সুস্বাদ্য আনতে বিশেষত ভর্তা, ভাজি, ইত্যাদি অথবা বিশেষ কোন খাবার রান্না করতে সরিষা তেলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং রান্না করা ছাড়াও রূপচর্চা পথ্য হিসেবে রয়েছে সরিষার তেলের বিশাল ভূমিকা।

উপকারিতা

সরিষা

সরিষা দানায় রয়েছে সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম যা হাঁপানী, ঠাণ্ডা জ্বর, সর্দি, কফ, কাশি ইত্যাদি দূর করে

এছাড়া সরিষার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক এসিড, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন ও সালিভা এসিড শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে ওজন কমে।

এটি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
সরিষার ক্যারোটিন, ফ্লেভোনয়েড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, সি ও কে বয়স্কের ছাপ দূর করে এবং অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

বাতরোগ এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে আক্রান্ত স্থানে সরিষা বাটা বা তেল মালিশ করতে হবে অথবা সরিষার দানা ডোবানো গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
সপ্তাহে একদিন চুলে উষ্ণ সরিষার তেল মালিশ করলে মস্তিষ্ক শিথিল হয়, খুশকি দূর হয় এবং চুল দ্রুত বাড়ে।

এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অর্শ্বরোগ থেকে মুক্তি পেতে দিনে তিনবার এক চা চামচ সরিষার দানা খেতে হবে।
সরিষা দানায় রয়েছে সালফার, ফাইবার এবং বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ও জীবানুনাশক উপাদান যা চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।

এছাড়া সরিষায় বিদ্যমান মিনারেল যেমন, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফ্যাটি এসিড এবং ক্যালশিয়াম যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সরিষার তৈল 
কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে। সরিষার তেল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্রদাহবিরোধী হিসাবে কাজ করে।

ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে।
চুল পড়া প্রতিরোধ করে, খুসকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে।

সরিষা তেল ঠান্ডা এবং কাশি উপশমে সহায়ক, যখন  বুকের সম্মুখে প্রয়োগ বা নিঃশ্বাসের মাধমে নেয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালী থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে।

এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি উদ্দীপক। এরা রক্ত সঞ্চালন, হজম প্রক্রিয়া এবং হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই তেল খাওয়া বা মাসাজ উভয় প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যায়।

পোকামাকড় সরিষার তেল সহ্য করতে পারে না। এই তেল ব্যবহার করে পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

অপকারিতা

প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
 হৃদ্স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
দীর্ঘদিন ধরে ত্বকে ব্যবহার করলে চামড়ার ক্ষতি করতে পারে।
অন্তঃস্বত্তা নারীদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

0 comments:

Post a Comment