![]() |
আদা |
আদার হাজারো গুণ
আদা একটি
উদ্ভিদ মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মশলা জাতিয়
ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয়
তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগণ্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি
ভেষজ ঔষধ। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়।
অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া
হয়। অন্যান্য
অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।
‘মাটির নিচে জন্ম নেওয়া এই মসলাজাতীয় খাবারটিতে আছে প্রচুর
পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এ ছাড়া সামান্য
পরিমাণে হলেও আছে সোডিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যেকোনো ধরনের
ঠান্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই ও হাঁপানির আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এ ছাড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর অনেক সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে আদা সেবনে। এ ছাড়া সকালে
উঠলে অনেকেরই শরীর ম্যাজম্যাজ করে, কিংবা দুর্বল বোধ করেন। এ
ক্ষেত্রেও আদা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও
ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এ ছাড়া চুল পড়া রোধেও তা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘বি৬’ এবং ‘সি’র পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে। এ ছাড়া রক্তের প্লাটিলেট ও
কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রম ঠিক রাখতেও তা দারুণ কার্যকর।
আদার রস খেলে
আহারে রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে। আদা পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বাড়ায়।
আদা
মল পরিষ্কার করে। আদার রসে পেটব্যথা কমে।
হৃদরোগ
ও শরীরের ভেতরে বায়ু ও আমাশা সারিয়ে তোলে।
আদার রসে মধু
মিশিয়ে খেলে কাশি সারে।
আদার মধ্যে থাকা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে
স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার
কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
শীতে শরীরে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা । নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনের
গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
শীতজনিত
শ্বাসকষ্টের দূর করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও
এই চা বেশ কর্যকর।
আদা হজমেও
সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে।
মানসিক চাপ
দূর করেতে সহায়তা করে আদা চা । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা
পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
আদায়
রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে।
জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা।
আদা কুচি করে চিবিয়ে অথবা আদার রসের সাথে সামান্য
লবণ মিশিয়ে পান করলে বমির ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
কিভাবে আদা খাবেন –
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।
২. আদা ছিলে , সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।
৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আধা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।
৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠাণ্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাট খেতে পারেন।
৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।
২. আদা ছিলে , সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।
৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আধা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।
৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠাণ্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাট খেতে পারেন।
৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।